নিজস্ব প্রতিনিধি: রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষনের দায়ে আসামীর যাবজীবন কারাদন্ড ও তিন লক্ষ টাকার জরিমানা করা হয়।
১৫ ডিসেম্বর বুধবার রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল র বিচারক এ.ই.এম ইসমাইল হোসেন ২০০০(৯)১ ধারায় অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় বিচারক আমৃত্যু যাবজীবন ও তিনলক্ষ টাকা জরিমানা করে এই রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে পিপি এ্যাডভোকেট মো:ইসলাম ইসলাম জানায় , নানিয়াচর থানার ৩ নং বুড়িঘাট ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে ইসলামপুর নুর জাহানের প্রতিবন্ধী কন্যা হামিদা আক্তার(১১)কে ধর্ষনের অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(৯)১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত। উক্ত অপরাধের দায়ে আমৃত্যু যাবজীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং তিনলক্ষ টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়।
তিনি আরো বলেন, আসামী নিধারিত সময়ের মধ্যে জরিমানা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কালেক্টর (জেলা প্রশাসক)কে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ২০০০ এর ১৬ ধারার বিধান অনুসরণ পুর্বক ১৮০ দিনের মধ্যে আসামী হারুন অর রশিদ (৮৫) এর মালিকাধীন স্থাবর বা অস্থাবর বা উভয়বিধ সম্পক্তির তালিকা প্রস্তত ক্রমে বা ক্রোক ও নিলামে বিক্রয় করে বিক্রয়লদ্ধ অর্থ এই ট্রাইবুন্যাল জমা প্রদারে নির্দেশ প্রদান করা হয়। উক্ত অর্থ ট্রাইব্যুনালে জমা হলে তা মামলার প্রতিবন্ধী ভিকটিম হামিদা আক্তারের পিতা ও মাতা তাদের সন্তানের ক্ষতিপুরুন হিসাবে প্রাপ্ত হবে।
নানিয়াচর থানার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, মামলা নং০১ ০৪/১০/২০২০ ইং নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) মামলার আইও মাসুদ খান। মামলার বাদী নুরজাহান বেগম(৩৩) স্বামী:মো:আবু হানিফ জানায়, ৪/১০/২০০০ সালে সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকায় একই এলাকার হারুন অর রশিদ (৫৫)পিতা: মৃত আতাহার আলী নিজ ঘরে চৌকির ওপর উলঙ্গ করিয়া ধর্ষনের দৃশ্য দেখতে পেয়ে চিৎকার করে লোকজন ডাকা শুরু করিলে আসামী হারুন অর রশিদ দৌড়াইয়া পালানোর সময় আমি তাকে ধরিয়া ফেলি এবং আমার হাতের লাঠি দিয়ে বারি দেই। তখন আসামী পা ধরিয়া এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য অনুরোধ করে। ইতিমধ্যে আশে পাশে লোকজন ঘটনাস্থল উপস্থিত হইয়া আসামীকে মারার উদ্যত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন নিজে ও আমার স্বামী প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে নানিয়াচর স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি । নানিয়াচর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে রেফার্ড করেন।